রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে দুই নৌপথে আজও উপচে পড়া ভিড়
রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে সীমিত আকারে গণপরিবহন, ফেরি ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ঢাকামুখী জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবারও (৩ আগস্ট) সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরিতে যাত্রী ও ছোট যানবাহন পারাপার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পারাপারের স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ঘাট এলাকায় মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করতে দেখা গেছে অনেককে। ঘাটে গণ-পরিবহন না থাকলেও রয়েছে ছোট ছোট যানবাহন রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে ফেরিতে ও ছোট যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। নানা অজুহাতে ঢাকায় ফিরছেন তারা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মোট ৮টি ফেরি চলাচল করছে। এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন। জরুরি পরিষেবা যানের সঙ্গেই হুড়োহুড়ি করে উঠানামা করছেন অধিকাংশ যাত্রী। রাজধানী ছেড়ে যাওয়া লোকজনও পদ্মা পাড়ি দিয়ে ফিরছেন নিজ গ্রামে। তবে ঢাকামুখী মানুষের সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি। শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই এখন যাত্রীরা ফেরিতে করেই পার হচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বহরের ১৮টি ফেরির মধ্যে আটটি ফেরি চলছে। জরুরি পরিষেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে চেকপোস্ট পার হয়ে যেসব যান ও যাত্রী জরুরি প্রয়োজনে ঘাটে আসছেন তাদেরও পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিতে লোকজন এমনভাবে উঠছেন যে তাদের নামিয়ে দেওয়ার অবস্থা নেই। তবে ঘাটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অন্যান্য দিনের মতো দেখা যায়নি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে জরুরি প্রয়োজন ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ায় ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এ দুর্ভোগের পরও শ্রাবণের বৃষ্টি নামতেই আরও বেড়ে যায় ভোগান্তি। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পরিবার-পরিজন নিয়ে গন্তব্যে ফিরতে মরিয়া তারা। নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিসির জানায়, এই নৌপথে দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় ফেরিই নদী পারাপারের একমাত্র উপায়। তাই ফেরিতে করেই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।